সময়টা ২০১৬, শুধুই বন্ধুদের আড্ডায় গান গাওয়ার জন্য গড়ে ওঠে একদল তরুণের ব্যান্ড ‘কুঁড়েঘর’। বাসার ছাঁদ থেকে ছোটখাটো মঞ্চ, সেখান থেকেই শুরু হয় গান গাওয়ার যাত্রা। ধীরে ধীরে ‘আমার কাছে তুমি মানে’, ‘কার পোশা পাখি’, ‘ব্যাচেলর’-এর মতো গানগুলো ছড়িয়ে পড়ে শহর থেকে গ্রাম, তরুণদের মুঠোফোন থেকে কিশোর-কিশোরীর কণ্ঠে। জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ব্যান্ডের দুই কণ্ঠশিল্পী, তাসরিফ খান ও জিসান খান শুভ।
তবে সেই পথচলায় হঠাৎ আসে মোড়। নিজের একক ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করতে গিয়ে ধীরে ধীরে আড়ালে চলে যান জিসান খান শুভ। আর কুঁড়েঘরের হাল ধরেন তাসরিফ একাই। সময় গড়ায়, গানও তৈরি হয়। কিন্তু শ্রোতারা রয়ে যান সেই পুরোনো দ্বৈতকণ্ঠের অপেক্ষায়—তাসরিফ ও শুভর যুগল কণ্ঠে নতুন কোনো সুর।
অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটলো। বহু প্রতীক্ষার পর আবারও একসঙ্গে গান নিয়ে ফিরেছেন তাসরিফ ও শুভ। আমজাদ হোসেনের সংগীত আয়োজন এবং ফারহান আহমেদ রাফাতের ভিডিও নির্মাণে কুঁড়েঘরের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে তাদের নতুন গানচিত্র ‘পাহাড় যাবো’।
গানটির ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে পাহাড়ি সংস্কৃতি, জীবনধারা আর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। ভিডিওর চিত্রনাট্য আর সঙ্গীতশৈলী মিলে তৈরি হয়েছে এক ভিন্নতর অভিজ্ঞতা, যা দর্শক-শ্রোতাদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
তবে শুধু গানেই থেমে থাকেননি শিল্পীরা। নতুন গান উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে ব্যতিক্রমী এক প্রতিযোগিতা। ‘পাহাড় যাবো’ গানের কাভার কিংবা নিজস্ব কনটেন্ট তৈরি করে অংশ নেওয়া যাচ্ছে এই আয়োজনে। যেখানে বিজয়ীরা পাবেন তাসরিফ খানের সঙ্গে সরাসরি পাহাড়ে ভ্রমণের সুযোগ! এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে প্রথম দুই বিজয়ীর নাম, আর বাকি ১২ জনের সন্ধানে চলছে উৎসবমুখর এই প্রতিযোগিতা।
নতুন গানের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় কুঁড়েঘর। শ্রোতার হৃদয়ে ফিরে এসেছে সেই পুরোনো সুর, সেই যুগল কণ্ঠ। এবার তারা পাহাড়ে যাচ্ছে—সঙ্গে যাচ্ছে শ্রোতাও।