সারাদেশে পলিটেকনিকে শাটডাউন ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি
কারিগরি শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি আদায়ে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো আন্দোলনে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির ঘোষণা আসে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে।
সোমবার রাতে সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দাবি বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর রূপরেখা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন ও পদোন্নতিতে হাইকোর্টের রায় বাতিল।
- ২০২১ সালের নিয়োগ নিয়ে বিতর্কিত বিধিমালা বাতিল।
- ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি রাখা এবং বিশ্বমানের সিলেবাস প্রণয়ন।
- দশম গ্রেডের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ও মনোটেকনোলজি পাস করা শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ।
- প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বনিম্ন ১৬ হাজার টাকা মূল বেতন নিশ্চিত করা।
- উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের গেজেট প্রকাশ এবং চারটি প্রস্তাবিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন সংরক্ষণ।
উল্লেখ্য, এসব দাবিকে ঘিরে গত কয়েক মাস ধরে ছাত্ররা নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। মানববন্ধন, ক্লাস বর্জন, পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা পন্থায় আন্দোলন জোরদার করেছে তারা।
১৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে তারা ব্যাপক বিক্ষোভ করে এবং দেশজুড়ে রেল ও সড়কপথ অবরোধ করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে তোলে। সন্ধ্যায় সরকারের আহ্বানে আন্দোলন স্থগিত করে সচিবালয়ে আলোচনায় অংশ নিলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেখানে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সাথে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়, তবে তা থেকেও শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ অগ্রগতি পায়নি বলে দাবি করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে, দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত টানা শাটডাউন চলবে বলে জানিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন।
